সুন্দরবনে অবমুক্ত হচ্ছে ১০০কুমির

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হচ্ছে একশটি লবণপানি প্রজাতির কুমির।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের সামনের নদীতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কুমির অবমুক্ত করবেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার।

কুমিরের বাচ্চা জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা হুমকির মুখে রয়েছে। সর্বশেষ জরিপে এই বনে লবণপানি প্রজাতির দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কুমির রয়েছে বলে বলা হয়েছে। যা সুন্দরবনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালসহ ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই অবস্থায় কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হচ্ছে।

এ সময় প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হুসাইন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে’সহ সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন থেকে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির বন্য মহিষ ও মিঠাপানি প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া লবণপানি প্রজাতির এসব কুমির অবমুক্ত করে চাঁদপাই, শরণখোলা, খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের নদ-নদী ও খালে মঙ্গলবারই ছেড়ে দেওয়া হবে।